Bandhu | বন্ধু | Friends Forever | Kids Story
আনন্দপুর গ্রাম। এখানে ভোর হয় সূর্যিমামার মিঠে রোদ আর পাখিদের সুমধুর গানে। এখানকার শীতল হাওয়ায় প্রাণ যেন জুড়িয়ে যায়। গাছপালা পশু পাখি মানুষজন সবাই সবার বন্ধু। গ্রামটি খুব ছোট্ট। গ্রামের ঠিক বাইরে বিস্তীর্ণ প্রান্তর যেখানে ছেলেরা পড়াশুনোর পর বিকেলে খেলাধুলায় মেতে ওঠে। আনন্দপুর গ্রাম ও তার খেলার মাঠ কে যুক্ত রেখেছে একটি সরু মেঠো পথ। এই গ্রামেরই একটি ঘরে বিল্টু আর তার মা থাকে। বিল্টুর বাবা কাজের প্রয়োজনে বাইরে থাকেন, তবে বিল্টুর মা বিল্টুকে সে অভাব বুঝতে দেন না। একটা ছুটির দিনে সকালে বিল্টু দাওয়ায় বসে পড়াশুনা করছিল আর বিল্টুর মা বিল্টুর পড়া শুনতে শুনতে নিজের হাতের কাজ সারছিলেন। কিছুক্ষণ পড়াশোনার পর বিল্টু, মাকে বলল- "মা একটু ঘুরে আসি"। মা বললেন -"বাবা আর একটু পড়াশুনা করে নে, তারপর যাস" বিল্টু মায়ের কথা অমান্য করল না সে আবার পড়াশোনায় মন দিল।
তারপর বিল্টু তার পড়াশোনা শেষ করে ঘুরতে বেরিয়ে গেল আসিস সে খেলার মাঠের দিকে যাচ্ছিল হঠাৎ সে দেখতে পেল একটা কুকুর খুড়িয়ে খুঁড়িয়ে তার দিকে এগিয়ে আসছে সে এটা দেখে কুকুরটার দিকে এগিয়ে গেল তারপর সে কুকুরটাকে কোলে তুলে নিয়ে তার বাড়ির দিকে রওনা দিল কিরে কি হয়েছে এর দেখো কুকুরটা না কেমন খড়িয়ে খড়িয়ে হাঁটছিল ঠিক করে
চলতে পারছিল না তাই একে আমি নিয়ে এলাম ঔষধ লাগিয়ে ভালো করে ব্যান্ডেজ করে দিতে হবে দেখিস কিছুদিন পর ওর উপা ঠিক হয়ে যাবে তারপর আবার ভালোভাবে চলতে পারবে এখন ও একটু বিশ্রাম করুক এরপর কিছুদিন কেটে যায় দেখতে দেখতে কুকুরটাও সুস্থ হয়ে ওঠে সে হাঁটতেও পারে কুকুরটাকে সুস্থ হতে দেখে বেল্টু খুব খুশি হয়ে যায় কুকুরটাও আনন্দে লাফাতে থাকে তারপর তারা ছুটতে ছুটতে খেলার মাঠের দিকে বেরিয়ে গেল কুকুরটাও লাফাতে লাফাতে তার পেছন পেছন চলল গ্রামের এক প্রান্তে একটা পুরনো কুয়ো ছিল তারা অন্যমনস্ক ভাবে ছুটতে ছুটতে যাচ্ছিল কুয়োটা খেয়ালকরেনি বিল্টু কুয়োতে পড়ে যাওয়াতে কুকুরটা চিৎকার করতে থাকে সে কোথাও থেকে একটা গাছের ডাল নিয়ে আসে ও সেটা দিয়ে সে বিল্টুকে তোলার চেষ্টা করে কিন্তু পারে না তারপর সে তার বাড়ির দিকে ছুটে যায় কুকুরটা ছুটতে ছুটতে বেল্টুর মায়ের কাছে পৌঁছায় তারপর বেল্টুর মায়ের কাছে চিৎকার করতে থাকে তার মা কিছুই বুঝতে পারে না বিল্টু কোথায় কোথায় যে গেল ছেলেটা বিল্টু বিল্টু কি হলো কি তোর যা যা এখন আমার অনেক কাজ বিরক্ত করিস না কুকুরটা বিল্টুর মায়ের শাড়ি ধরে টানতে থাকে তখন তার মা ভাবলো ও বোধহয় কিছু বলতে চাইছে সে তখন তার পেছন পেছন চলতে থাকলো
তারপর দেখল কুকুরটা কুয়োর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিল্টুর মা কুমর কাছে গিয়ে ভেতরে তাকিয়ে দেখল যে বিল্টু বাবা কিভাবে পড়ে গেলি তুই এখানে সে তার মাকে বলতে লাগলো কিভাবে পড়লো সে সব কথা শোনার পর তার মা বলল আচ্ছা বাবা তুই একটু অপেক্ষা কর আমি কিছু একটা ব্যবস্থা করছি এই বলে বিল্টুর মা গ্রামের দিকে রওনা দিল বিল্টুকে তোলার কিছু একটা ব্যবস্থা করে করতে কিছুক্ষণ পর বেল্টুর মা একটা দড়ি নিয়ে এলো তাকে তোলার জন্য তাকে বলল এই নে এই দড়িটা ধরে উপরে উঠে আয় বেল্টু সেই দড়িটা ধরে উপরে উঠে আসে তারপর তারা সবাই খুশি হয় মুখে হাসি ফুটে ওঠে সবাই মিলে একসঙ্গে |
0 comments:
Post a Comment